ট্রেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন-এমন গুজব ছড়ানোর পর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে পালিয়েছেন সব যাত্রী। আজ সোমবার দুপুরে ভারতের আসাম রাজ্যের জোরহাট জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রেনটি আসছিল চেন্নাই থেকে। প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগেই খবর পেয়ে স্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যান সব যাত্রী ও উপস্থিত সবাই। পরে রেলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব নিয়ে খালি করে দেওয়া হয় পুরো প্ল্যাটফর্ম।
চেন্নাই এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ মেলার খবর পেয়ে সবাই আতঙ্কিত হন। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে তাই তড়িঘড়ি করে প্ল্যাটফর্ম খালি করে দেওয়া হয়। স্টেশন ফাঁকা করে গোটা ট্রেনের যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু পরে জানা যায়, দুই ব্যক্তির সর্দি-কাশি থাকলেও তা করোনার মতো ছিল না। রেলের চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দেওয়ার পরই ফের গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
সংশ্লিষ্ট উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চল রেলের মুখপাত্র শুভানন চন্দ জানান, চেন্নাই এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের উপসর্গ দেখেছেন বলে এক যাত্রী ফোনে অভিযোগ করেন। সেখান থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রেল কর্তৃপক্ষও কোনো ঝুঁকি নেয়নি। স্টেশন ফাঁকা করে ট্রেনের সব যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে।
শুভানন চন্দ আরও জানান, দুই ব্যক্তির সর্দি-কাশি থাকলেও তা করোনাভাইরাসের মতো ছিল না। রেলের চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দেওয়ার পরে আবার ট্রেন ছেড়ে যায়। বেলা ১টায় শুরু হওয়া আতঙ্ক ও ভোগান্তির পর্ব শেষ হয় দুপুর আড়াইটার দিকে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতি যাত্রার শেষে পুরো ট্রেন ডিপোয় নিয়ে গিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। যাত্রার সময়েও নিয়ম করে দরজার হাতল, বার্থের হাতল, কল, শৌচাগারের দরজার হাতল জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। পর্দা ও কম্বল দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। কোনো যাত্রী চাইলে তবেই কম্বল দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে কেরালার কোচি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে দুবাইগামী একটি প্লেন থেকে ২৭০ জন যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। উড্ডয়নের আগ মুহূর্তেই জানা যায়, ওই ফ্লাইটের একজন ব্রিটিশ যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩ জন।
পাঠকের মতামত: